Thursday, August 5, 2021

সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে।

সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে।

রওশাদ মুছা,সিনিয়র করসপন্ডেন্ট।।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের সন্যারসীরচর নিউ শিকদার হাট থেকে বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পাকা সড়কটি গত এক বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে, গর্ত হয়ে চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সড়কটির বেহাল দশার কারনে ভোগান্তিতে রয়েছে সড়কটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল এলাকা বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা। পদ্মাপাড়ের কাজিরসূরাসহ চরজানাজাত এবং সদরপুরের দিয়ারা নারিকেলবাড়ি ও চরনাছিরপুর গ্রামের কমপক্ষে ত্রিশ হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে শিবচরসহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাঁচ্চর ও অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করে থাকে। পদ্মাপাড়ের ঐসকল গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই সড়কটিই একমাত্র সহজ রাস্তা এই এলাকার মানুষের। গত বছরের বন্যার সময় প্রায় ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়েছিল সড়কটি। তখন পানির স্রোতের কারণে সড়কের বেশির ভাগ অংশেই গর্ত হয়ে আছে। ফলে সড়কটি দিয়ে বর্তমানে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া বৃষ্টি নামলে কাদাপানিতে বেহাল দশা হয়ে যায় সড়কটির। পায়ে হেটেও যাওয়া-আসা করা কষ্টকর হয়ে উঠে।

সামচুল হক বেপারী নামের এক বাসিন্দা বলেন,’২০২০ সালের বন্যায় পদ্মার পার থেকে কাজিরসূরা বাজার হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পুরোপুরি পানিতে ডুবে ছিল। রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানির স্রোত গেছে তখন। বেশির ভাগ জায়গায় কার্পেটিং ওঠে দিয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়।’

news istahar saradesh news

বন্দরখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খান সাদ্দাম বলেন,গত বন্যায় সড়কটি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কটি দিয়েই বন্দরখোলা ইউনিয়নসহ পদ্মার পাড়ের গ্রামগুলোর মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী সড়কটি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আশা করি শীঘ্রই সংস্কার করে জনগনের দূর্ভোগ দূর হবে।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন,’বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়কটি পূনঃনির্মানের জন্য ‘ফ্ল্যাড প্রজেক্ট’ এর আওতাভুক্ত রয়েছে। আগামী তিন/চার মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’

আইসিইউ বেড খালি নাই করোনা ইউনিটেও সিট বেড খালি নাই লিখিত ব্যানার টানিয়ে
দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

আইসিইউ বেড খালি নাই করোনা ইউনিটেও সিট বেড খালি নাই লিখিত ব্যানার টানিয়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।

 

mymensingho news istahar

আইসিইউ বেড খালি নাই করোনা ইউনিটেও বেড খালি নাই এমন একটি ব্যানার টানিয়ে দিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই বর্তমানে হাসপাতালে মাত্রাতিরিক্ত রোগী করোনা ইউনিটে ভর্তি আছে। আর তাই খালি নেই সাধারন বেড সাথে আইসিইউ বেড। অনেকটা নির্দয় আর নিষ্ঠুর হয়েই ব্যানার টাঙ্গাতে বাধ্য হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনটাই বলছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কেউ কেউ।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন এর সত্যতা নিশ্চিত করে স্টার টেলিভিশনকে জানালেন-করোনা ইউনিটে বেড বরাদ্ধ আছে ৪শত অথচ বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ৫৮০ জন। বাকি ১ শত ৫০ জন রোগী ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। কিন্তু আজ থেকে ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর তা ছাড়া যারা ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সবাইকে অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকটা বাধ্য হয়েই হাসপাতালের সামনে ব্যানার টাঙ্গাতে হয়েছে।

 

এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় জেলা শহর ছাড়াও প্রতিদিন বাইরের জেলাগুলো থেকে করোনা রোগী ভর্তির জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছে। এমনিতেই করোনা ইউনিটে জনবল থাকার ফলে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মারীদের উপর বাড়তি চাপ বেড়ে গেছে।

 

রোগী আসলে ভর্তি না করে তাদেরকে কি করছেন? এমন পশ্নের জবাবে তিনি বলেন-বেড খলি না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রোগীদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে বাড়িতেই থাকতে বলা হচ্ছে। তবে হ্যা যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন শুধু তাদেরকেই মানবতার খাতিরে ভর্তি করা হচ্ছ। তবে বেডে নয় ফ্লোরে।

শিবচরে দূর্ধর্ষ চুরিঃ স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুট ।

শিবচরে দূর্ধর্ষ চুরিঃ স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুট ।

রওশাদ মুছা, সিনিয়র করসপন্ডেন্টঃ
istshsr news crime
মাদারীপুর জেলার শিবচরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৩ লক্ষ টাকাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোরচক্র। বুধবার(৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের চর বাঁচামারা গ্রামে মো. রেজাউল জমাদ্দার ও তার ছোট ভাই লিটন জমাদ্দারের ঘরে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরে কোন লোকজন ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে ঘর তালা মেরে রেখে রেজাউল জমাদ্দারের স্ত্রী ও তার পরিবার নিয়ে শিবচর পৌরসভায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার ভোরে তার সেজো ভাইয়ের স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে রেজাউল এর ঘরের দরজা ভাঙা দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত এসে আরো দুটি ঘরের দরজা ভাঙা পায়। বিষয়টা দ্রুত ফোনে জানালে রেজাউল জমাদ্দার ও তার পরিবার বাড়িতে এসে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
রাতের কোন এক সময় চরচক্র ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বলে ভুক্তভোগীদের ধারনা। চরচক্র ঘরে ঢুকে আলমারি, শোকেস ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লক্ষ টাকা, টিভি, ও ব্যাংকের চেকবই চুরি করে নিয়ে যায়।
 
রেজাউল জমাদ্দারের বড় ভাবি সেতারা বেগম বলেন, ঘরে লোকজন না থাকায় চোরচক্র রাতের আঁধারে আমাদের বাড়ি ৩টি ঘরে ঢুকে স্বর্ণ, টাকা, টিভিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চুরির বিষয় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ছেলেদের হুমকিতে বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ছেলেদের হুমকিতে বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ

আনোয়ার জাহিদ।। 
istaharnewssaradesh
মোঃ মজিবর রহমান (৯০)।।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুরে আপন (নিজ) ছেলে কর্তৃক বিভিন্ন ভয় ভীতি,খুন জখম ও গুম করার হুমকিতে ছেলেদের বিরুদ্ধে বাবার থানায় লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগে প্রকাশ,গাইবান্ধা জেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত মেহের শেখের পুত্র মোঃ মজিবর রহমান (৯০) ব্যক্তিগত জীবনে দুটি বিবাহ করিয়াছেন এবং তিনি ১১ ছেলেমেয়ের জনক। বর্তমানে দুজন স্ত্রী জীবিত আছে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৬ ছেলে সন্তান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ২ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান আছে,তারা সবাই বিবাহিত এবং প্রতিষ্ঠিত ও সবাই পৃথকভাবে বসবাস করে। প্রথম স্ত্রীর ছেলেরা তার দেখভাল না করায় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সুজন মিয়া ও স্বাধীন শেখের সান্নিধ্যে থাকেন।
এদিকে প্রথম স্ত্রী ছেলে যথাক্রমে মোঃ মুছা শেখ (৪৫), মোঃ সুজা শেখ (৪২), মোঃ সুলতান শেখ (৪০) ও মোঃ শাওকাত হোসেন ওরফে সোনা শেখ (৩৮) একত্রিত হয়ে বিমাতা ছোট ভাই সুজন মিয়া (৩৫) ও স্বাধীন শেখ (৩০)’কে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ,ভয়ভীতি ও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে। আর বৃদ্ধ পিতা মজিবর রহমান এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মুছা শেখ,সুজা শেখ, সুলতান শেখ শাওকাত হোসেন ওরফে সোনা শেখ তাদের নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য বৃদ্ধ বাবাকে চাপসৃষ্টি অকথ্যভাষায় গালিগালাজ,ভয়ভীতি,খুন জখম,গুম সহ নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। এছাড়া সুলতানের স্ত্রী মিনা আক্তার(৩৫) বৃদ্ধ শ্বশুরকে স্বামীর পক্ষ নিয়ে অকথ্য গালিগালাজ করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
অসহায় বৃদ্ধ পিতা মজিবর রহমান ছেলেদের এহেন হুমকির ফলে ভীতসন্ত্রস্ত সহ জান মালের নিরাপত্তা নিয়ে শংকা বোধ ও চরম নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ পিতা মজিবর রহমান জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
♥সৌজন্য, আমীরুল ইসলাম কবির♥
কত বড় মজুদদারি ১১ কোটি টাকার সিগারেট মজুদ !

কত বড় মজুদদারি ১১ কোটি টাকার সিগারেট মজুদ !

আনোয়ার জাহিদ,ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান।।
istahar saradesh news
ঢাকার মডেল এবং নায়িকাদের মত ফরিদপুর বহু গুপ্ত কোটিপতি ব্যবসায়ী আছেন,যারা গোপন গুদামে চাল আটা ডাল তেল মজুদ করে রেখেছন।
লকডাউনে কিনছেন ১১ কোটি টাকার সিগারেট ও।
স্হান বেশী দুরে নয়। হাজী শরীয়তুল্লা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী রথখোলা নদীপার গলিতেই তার বিশাল ব্যবসার বাড়ী।
এ ছাড়াও চকবাজার, টেপাখেলা ও কানাইপুরে বাজারে রয়েছে ভাই ও বড়দাদের মজুদদারি ব্যবসা।
সবার দোকান ও ব্যবসা চলে আইন মেনে। শিকদার দাদা বাবুর ১৭ গুদামের ব্যবসা চলে নিজ বাড়ীতে এবং ফোনে ফোনে।
জানাগেল দাদা বাবু বড় ব্যবসায়ী লকডাউনে সিগারেটের ঘাটতি বা কমতি হতে পারে এ জন্য তার ব্যবসার জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকার সিগারেট মজুদ করছেন।
আসছি বিস্তারিত নিয়ে………….
প্রতিটি মূহুর্তেই যেন মৃত্যুর ঘন্টা বেজে উঠে, করোনায় আজ আরো ২১ জনের প্রান গেল
আক্রান্ত ৩১৬

প্রতিটি মূহুর্তেই যেন মৃত্যুর ঘন্টা বেজে উঠে, করোনায় আজ আরো ২১ জনের প্রান গেল আক্রান্ত ৩১৬

জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।

প্রতি দিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। আর সে জন্যই বর্তমানের অবস্থাটা হচ্ছে এমন যে, প্রতিটি মূহুর্তেই যেন মৃত্যুর ঘন্টা বেজে উঠে। এই পরিস্থিতে মৃত্যুকে বরণ করা ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পাওয়াটা সম্পূর্ণরূপে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া।

 

৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন খান মুন তার নিয়মিত বুলেটিনে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান যে, গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলা সদর ও জেলার বাইরে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও ১৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ৩১৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন আরও ৬ জন।

 

করোনা পজেটিভ নিয়ে হয়ে মারা গেলেন যারা-ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রহিমা (৬৫), ত্রিশাল উপজেলার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (৭০), তারাকান্দা উপজেলার ইলিয়াস আলি (৭০), জামালপুর সদর উপজেলর আসমা (৭০), কিশোরগঞ্জ জেলার হাজী মহিউদ্দীন (৬৮) এবং টাংগাইল সদর উপজেলার আব্দুর সাত্তার (৪০)।

 

করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন যারা-ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নজরুল (৭০), ফজিলা খাতুন (৬০), সকুরজান (৬০), বাজেদ আলি (৭৫), আনোয়ারা বেগম (৬৫), রহিমা (৪০), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রোকন উদ্দিন (৬০), গফরগাঁও উপজেলার রেহেনা খাতুন (৭৫), ভালুকা উপজেলার জালাল (৬০), গৌরীপুর উপজেলার আরিফ (১৬), নান্দাইল উপজেলার আমেনা (৬০), জামালপুর সদর উপজেলার হযরত আলি (৭০), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হেলেনা (৫০), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নয়ন মিঞা (৪০), টাংগাইল সদর উপজেলার মোসলেম উদ্দীন(৭০)।

 

বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি আছেন ৫৮০ জন ও আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২২জন।

 

গতকাল বুধবার রাতে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যমতে করোনা টেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে যে, ময়মনসিংহ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় র‌্যাপিড এন্টিজেন টেষ্টে  ১৯৫ জন এবং আরটিপিসিআর টেষ্টে ১২১ জনসহ মোট ৩১৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ১৬১ জন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন,  গৌরীপুর উপজেলায় ১৭ জন, ফুলপুর উপজেলায় ২ জন, তারাকান্দা উপজেলায় ৪ জন, হালুয়াঘাট উপজেলায় ১১ জন, মুক্তাগাছা উপজেলায় ২৪ জন, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ১৭ জন,  ত্রিশাল উপজেলায় ২৭ জন, ভালুকা উপজেলায় ১৯ জন, গফরগাঁওয় উপজেলায় ১৪ জন ও   নান্দাইল উপজেলায় ১৩ জন।

ময়মনসিংহের চরপাড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা

ময়মনসিংহের চরপাড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা

জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।

গত ৩রা আগষ্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর স্থানীয় চরপাড়া বাইলেন এলাকায় এক ছাত্রীকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালায় স্থানীয় এলাকার মাদক কারবারি সোহান গং নামের একদল দুষ্কৃতিকরী। এ ঘটনায় ভিক্টিমের বড় ভাই বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে যে, ওই কলেজ ছাত্রী তাদের বাসার কাজের মেয়েকে সাথে নিয়ে বাসার অদূরে একটি মুদির দোকানে কিছু সদাই করতে যায়। সদাই শেষে বাসায় ফেরার পথে  মাদক কারবারি সোহান এবং তার সাথে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মেয়েটির পিছু নেয় ও এক সময়  মেয়েটিকে ধরে ফেলার চেষ্টা করে। এমন সময় অবস্থা বেগতিক দেখে মেয়েটি দৌড়ে বিলকিস ছাত্রাবাস সংলগ্ন বুদু মিয়া ওরফে বুইদ্যার বাসায় ঢুকে পরে। সে সময় সোহান এবং তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী মাদক কারবারিরা বুইদ্যার বাসায় প্রবেশ করে মেয়েটির শ্লীলতাহানির পাশাপাশি তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।

 

এমন সময় বুইদ্যা ও তার স্ত্রী তাদেরকে বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বুইদ্যার স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে। এসময় তাদের চিৎকার চেচামেচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে যাবার সময় তারা এই বলে হুমকি দেয় যে, অপহরণের সাথে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান যে, বেশ কিছু দিন যাবৎ মেয়েটিকে এরা বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছে।

 

ঘটনার পর ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সবাইকে আস্বস্ত করে বলেছেন যে, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।