রওশাদ মুছা,সিনিয়র করসপন্ডেন্ট।।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের সন্যারসীরচর নিউ শিকদার হাট থেকে বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পাকা সড়কটি গত এক বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে, গর্ত হয়ে চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সড়কটির বেহাল দশার কারনে ভোগান্তিতে রয়েছে সড়কটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল এলাকা বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা। পদ্মাপাড়ের কাজিরসূরাসহ চরজানাজাত এবং সদরপুরের দিয়ারা নারিকেলবাড়ি ও চরনাছিরপুর গ্রামের কমপক্ষে ত্রিশ হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে শিবচরসহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাঁচ্চর ও অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করে থাকে। পদ্মাপাড়ের ঐসকল গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই সড়কটিই একমাত্র সহজ রাস্তা এই এলাকার মানুষের। গত বছরের বন্যার সময় প্রায় ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়েছিল সড়কটি। তখন পানির স্রোতের কারণে সড়কের বেশির ভাগ অংশেই গর্ত হয়ে আছে। ফলে সড়কটি দিয়ে বর্তমানে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া বৃষ্টি নামলে কাদাপানিতে বেহাল দশা হয়ে যায় সড়কটির। পায়ে হেটেও যাওয়া-আসা করা কষ্টকর হয়ে উঠে।
সামচুল হক বেপারী নামের এক বাসিন্দা বলেন,’২০২০ সালের বন্যায় পদ্মার পার থেকে কাজিরসূরা বাজার হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পুরোপুরি পানিতে ডুবে ছিল। রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানির স্রোত গেছে তখন। বেশির ভাগ জায়গায় কার্পেটিং ওঠে দিয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়।’
বন্দরখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খান সাদ্দাম বলেন,গত বন্যায় সড়কটি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কটি দিয়েই বন্দরখোলা ইউনিয়নসহ পদ্মার পাড়ের গ্রামগুলোর মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী সড়কটি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আশা করি শীঘ্রই সংস্কার করে জনগনের দূর্ভোগ দূর হবে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন,’বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়কটি পূনঃনির্মানের জন্য ‘ফ্ল্যাড প্রজেক্ট’ এর আওতাভুক্ত রয়েছে। আগামী তিন/চার মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’